বৃহস্পতিবার ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্চে এলো দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   141 বার পঠিত

মার্চে এলো দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

চলতি বছরের সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২.১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

অন্যদিকের দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে থাকা ডলার সংকটও কিছুটা কমছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি টাকার সংকট কিছুটা কমে আসার কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকা অদলবদলের (সোয়াপ) সুবিধা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। এতে হঠাৎ বেড়ে যায় আমদানি খরচ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এ কারণে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। মাসটিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলে
সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ সে হিসাবে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:২৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪

প্রতিদিনের অর্থনীতি |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

April 2024
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930 

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

সম্পাদক:
এম এ খালেক
Contact

মাকসুম ম্যানশন (৪র্থ তলা), ১২৭, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

০১৮৮৫৩৮৬৩৩০

E-mail: protidinerarthonity@gmail.com