
| রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 455 বার পঠিত
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিআইএ) বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর স্বার্থ সুরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি‘র নির্বাহী ও বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জামাল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) গঠনের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর স্বার্থ সুরক্ষা করা। শুরুতে এই সংগঠনের ভূমিকা যথাযথ থাকলেও পরবর্তীতে নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে সংগঠন তার ভূমিকা যথাযথ পালনে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন পর আবারো উৎসব আমেজে এ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও বীমা খাতের কল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। যাতে করে আগামী দিনের বিআইএ বীমা কোম্পানিগুলোর স্বার্থ সুরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালক জয়নুল আবেদীন জামাল বলেন, বীমা খাতের কল্যাণে বিআইএ নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। একটি কল্যাণমুখী বীমাখাত বির্নিমাণে বিআইএ’র নেতৃত্বে যেই আসুক এখানে প্রতিনিধিত্বমূলক এবং সকলের কাছে দায়বদ্ধ কমিটি গঠন করে নতুন আঙ্গিকে বীমা খাতকে গড়ে তোলা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, যেহেতু বিআইএ বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য মেরুদণ্ডস্বরূপ। তাই এখানে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে এখাতের সমস্যা, সম্ভাবনা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ের মাধ্যমে সমাধান করা বীমা খাতের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বিআইএ’র এই কমিটি সকলের সাথে আলোচনা করে আরো কিভাবে বীমা খাতকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি এই কমিটিতে যেই আসুক সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সমৃদ্ধ বীমা খাত গড়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে। আর এর মধ্য দিয়ে আমাদের বীমাখাত সুদৃঢ় হবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে বীমাখাতের টেকসই অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব যেমন মজবুত আইনি কাঠামো গঠনে পরিপক্ষ তেমনি দাবি দাওয়া আদায়েও পারদর্শী। তাই আমি মনে করি, এই কমিটিতে যারাই আসবে তারা এখাতের দক্ষ ও মেধাবীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করে খাতের সমস্যাসমূহ সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ খাতের কল্যাণে দক্ষ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাদের দ্বারাই এ খাতের কল্যাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য আইন ও বিধি-বিধানের যথার্থ, পরিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তাহলে বীমা খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে।
Posted ৬:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity