বৃহস্পতিবার ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ থেকে বীমা খাতকে টেনে তুলতে আইডিআরএ’র ক্ষমতা বাড়ানো দরকার : ড. এম আসলাম আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   240 বার পঠিত

খাদ থেকে বীমা খাতকে টেনে তুলতে আইডিআরএ’র ক্ষমতা বাড়ানো দরকার : ড. এম আসলাম আলম

খাদ থেকে বীমা খাতকে টেনে তুলতে আইডিআরএ’র ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। তিনি বলেন, বীমা খাতকে ঢেলে সাজাতে হলে আইডিআরএ’র ব্যাপকভাবে ক্ষমতায়ন দরকার। সেটা সংস্থার আইনগত সংস্কার, জনবল বৃদ্ধি ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে হতে হবে। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন। কোনকিছু রাতারাতি সংস্কার করা সম্ভব নয়। এ খাতের উন্নয়ন করতে চাইলে আইডিআরএ’কে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে। ক্ষমতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

বুধবার (১২ মার্চ) আইডিআরএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বীমা খাতের সংস্কার ও আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। লাইফ বীমা খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম এবং নন-লাইফ খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেনা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম।

সেমিনারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ, লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমে বীমা খাত নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।

ব্যাংকিং খাত খাদের কিনারে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উক্তি উল্লেখ করে ড. এম আসলাম আলম বলেন, ইন্স্যুরেন্স সেক্টর খাদে পড়ে রয়েছে। সেটা হয়েছে বিগত ১৫ বছরে। তিনি বলেন, ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে বিগত ১৫ বছর ধরে যে অনাচার হয়েছে তার পুঞ্জিভূত ফসল আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিগত ১৫ বছরে যে লাইসেন্সগুলো দেয়া হয়েছে সেটা দেয়া হয়েছে লুটতরাজ করার জন্য এবং সেটা করেছেও তারা।

তিনি বলেন, আইডিআরএ’র নামেই আছে কাজের ক্ষেত্রে তার ক্ষমতা খুবই সীমিত। আইডিআরএ’র যে ক্ষমতা রয়েছে সেটার প্রয়োগও খুব সীমিত। তিনি বলেন, বীমা আইনকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। আইডিআরএ’কে দূর্বল করে বীমাকারীদের পক্ষে এই আইন করা হয়েছে। আইডিআরএ কাউকে সাসপেন্ড করলে তারা আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার নিয়ে পুনরায় ফিরে আসে। তাই ব্যাপকভাবে আইডিআরএ’র ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে তথ্যের প্রয়োজন। কিন্তু বীমা কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে চায় না। যেসব তথ্য দেয় তা ফেব্রিকেটেড (জাল-জালিয়াতি) কিনা তাও নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন হলে ৮৫ শতাংশ অনিয়ম-দূর্নীতি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পদক্ষেপ নেই কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, আইএমএস যেটা ইউএমপি নামে পরিচিত ছিল সেটা ১০টি সার্ভিস দিচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো মনিটরিং করতে এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইএমএস-এ পূর্ণ তথ্য দিলে আইডিআরএ কাজ করতে পারবে। কিন্তু বিআইএ’র নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে তারা এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে না।

তিনি বলেন, শেয়ারহোল্ডারের সম্পদ বিক্রি করে দাবি পরিশোধের ক্ষমতা আইডিআরএ’র নেই। এ জন্য আদালতে যেতে হয়। এরইমধ্যে কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু মামলা চলমান আছে। তিনি আরো বলেন, অনিষ্পন্ন বীমা দাবি পরিশোধ না হলে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না। সুশাসন কায়েম হলে আস্থা বাড়বে।

 

প্রতিদিনের অর্থনীতি/এসইউ
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

প্রতিদিনের অর্থনীতি |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

March 2025
SSMTWTF
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031 

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

সম্পাদক:
এম এ খালেক
Contact

মাকসুম ম্যানশন (৪র্থ তলা), ১২৭, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

০১৮৮৫৩৮৬৩৩০

E-mail: protidinerarthonity@gmail.com