
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 113 বার পঠিত
বাজারে নিত্যপণ্যের দামের মধ্যে একটা শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে কাঁচাবাজারে যাচ্ছি। ভোক্তা এবং রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলছি। মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। খুচরা বাজারেও যাচ্ছি।’
সোমবার সকালে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা কোথায়, সবাই কিন্তু যেখানে যাচ্ছি। সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছি। মিল মালিক, হোলসেল সবার কিছু চাওয়া পাওয়া আছে। যখনই তাদের কাছে যাচ্ছি, তারা চাওয়া-পাওয়ার কথা বলছেন।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘বাজার থেকে কেউ রশীদ ছাড়া পণ্য কিনবেন না। আমরা কারওয়ান বাজারসহ সকল পাইকারি মার্কেটকে বলব, আপনারা রশীদ ছাড়া কোনো মালামাল বিক্রি করবেন না। তাহলে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন যে সরবরাহ সেখানে সমস্যা হয়।’ তিনি জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি আমাদের এই জিনিসগুলো বাস্তবায়ন করতে। এরপর আমরা কঠোর হতে একটুও পিছপা হবো না।’
রমজানকে কেন্দ্র করে যেসব পণ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে সেসব পণ্যের সাপ্লাই চেন কোথায় থেকে আসে সেগুলো বেশি তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কোন জায়গা থেকে পণ্যটি রাজধানীর বাজারে আসে, কার মাধ্যমে আসে, সেই বিষয়গুলো শান্তিনগর বাজার পরিদর্শন করে তদারকি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রমজানকেন্দ্রিক যে পণ্যের চাহিদা থাকে সেই চাহিদাটির আসলে ঘাটতি কোথায় তা খুঁজতে সরেজমিনে গিয়েছি।’
রশীদ ছাড়া পণ্য ক্রয়-বিক্রয় না করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোন পণ্যের দাম কত হওয়া উচিত তা নিশ্চিত করতে হবে। তেলের শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তা বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব মিল ১৬৩ টাকায় সয়াবিন তেল বাজারে দেয়নি তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু সাফ জানিয়ে দেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবে না। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদেরও লাইসেন্স দেওয়া হবে। বিকল্প ব্যবস্থা করে মৌসুমী বা এক রাতের ব্যবসায়ীদের আর ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।’
Posted ৪:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner_Arthonity