বৃহস্পতিবার ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ: সমস্যা সমাধানে কতটা সক্ষম হবে?

এম এ খালেক   |   শনিবার, ১১ মে ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   112 বার পঠিত

ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ: সমস্যা সমাধানে কতটা সক্ষম হবে?

ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) এর পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার স্থানীয় মুদ্রা টাকায় ৭টাকা বৃদ্ধি করেছে। ঐদিন সকালে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০টাকা। বিকেলে তা ৭টাকা বৃদ্ধি করে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। স্থানীয় অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার পরামর্শ দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন তা উপেক্ষা করে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন নিজেরাই মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে দিতো। সেই অনুযায়ী, সিডিউল ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতো। কিন্তু আইএমএফ বেশ কিছু দিন ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় বা বাজার ভিত্তিক করার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছিল। সংস্থাটির কর্মকর্তা পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে তাদের দেয়া ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চুক্তির শর্তাবলী বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এই প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার যত দ্রুত সম্ভব নমনীয় বা বাজার ভিত্তিক করার জন্য তাগিদ দেয়। প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে অর্থাৎ ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি আরোপ করে। এটা করা হয়েছে মূলত আইএমএফ’কে খুশি করার জন্য। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই আইএমএফ তাদের অনুমোদিত ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাংলাদেশের অনুকূলে ছাড় করবে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করার ফলে স্থানীয় মুদ্রা টাকার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটলো। নিকট অতীতে আর কখনোই একবারে স্থানীয় মুদ্রা টাকার এত বেশি হারে অবমূল্যায়ন ঘটেনি। এ নিয়ে গত ১৬ মাসে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার ৪০ শতাংশ দরপতন ঘটলো।

কোনো দেশের স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস-বৃদ্ধি একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের স্থানীয় মুদ্রার মান নির্ধারণ করে থাকে। কোনো কারণে মার্কিন ডলারের যোগান বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় সক্ষমতা বা শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই অবস্থায় তুলনামূলক কম স্থানীয় মুদ্রা ব্যয় করে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ মার্কিন ডলার ক্রয় করা যায়। আবার কোনো কারণে মার্কিন ডলারের যোগান হ্রাস পেয়ে বা চাহিদা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে। এই অবস্থায় মার্কিন ডলার ক্রয়ের জন্য আগের চেয়ে বেশি স্থানীয় মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। বিশ্বে সাধারণত তিন ধরনের মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নির্ধারিত বিনিময় হার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময় সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে দেয়। সিডিউল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বিনিময় হার অনুসরণ করে মুদ্রা বিনিময় করে থাকে। আর একটি পদ্ধতি হচ্ছে বাজার ভিত্তিক বিনিময় হার অনুসরণ করা। এই ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে না। বাজার চাহিদা এবং যোগানের উপর ভিত্তি করেই মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার ভিত্তিক বিনিময় হার অনুসরণ করা হয়। এই দু’টি ব্যবস্থার মাঝামাঝি যে পদ্ধতি আরোপ করা হয় তা হচ্ছে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি। ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের একটি হার নির্ধারণ করে দেয়। সিডিউল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিধারণ করা বিনিময় হারের আশে পাশে নিজেরা বিনিময় হার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করে থাকে। তবে সিডিউল ব্যাংকগুলো চাইলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত বিনিময় হারের চেয়ে অনেক বেশি অথবা অনেক কমে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিডিউল ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা পর্যন্ত প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করতে পারবে। অর্থনীতিবিদগণ মনে করছেন,ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ আসলে পরবর্তীতে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মুদ্রার বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করারই একটি ইঙ্গিত মাত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষ করে পণ্য রপ্তানি খাত এবং জনশক্তি রপ্তানি খাতের আয় প্রত্যাশা মতো বৃদ্ধি না পাওয়া এবং একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবার কারণেই বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি কমে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো আমদানিকারক ও বিনিয়োগকারিদের চাহিদা মতো মার্কিন ডলার সরবরাহ করতে পারছে না। এই অবস্থায় স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটলে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু ভোগ্য পণ্য আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে তা নয়। একই সঙ্গে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল,ক্যাপিটাল মেশিনারিজ, মধ্যবর্তী পণ্য ইত্যাদিসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানি ব্যয় ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থনীতিবিদদের মধ্যে যারা এই মুহূর্তে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন না করার পক্ষে তাদের যুক্তি হচ্ছে, এতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে জনদুর্ভোগ ও দুর্দশা আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ বড়ই অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তাই তারা যে কোনো মূল্যেই হোক স্থানীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের প্রতিকূলে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করছেন।

কিন্তু যারা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় বা বাজার ভিত্তিক করার পক্ষপাতি তাদের বক্তব্য হচ্ছে,অভ্যন্তরীণ বাজারে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার যতটা না দায়ী তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী হচ্ছে বাজার ব্যবস্থার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতা। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য হ্রাস পেলেও স্থানীয় বাজারে তার কোনো প্রভাব প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ তার ব্যবহার্য পণ্যের ২৫ শতাংশের মতো আমদানি করে থাকে। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। তাহলে সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ কি? যে পণ্য তৃণমূল পর্যায়ের উৎপাদকগণ প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি করেন সেই পণ্যটিই রাজধানীতে এসে ৮০ বা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ হলো, পণ্য পরিবহনকালে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। বাজারে একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে। যারা সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন তাদের অনেকেই রাজনৈতিক সমর্থনপুষ্ট। যে কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না।

গত প্রায় ২ বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের পর উচ্চ মূল্যস্ফীতির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী অর্থনীতিতেও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এটা ছিল দেশটির বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। তারা নানাভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে মূল্যস্ফীতিকে ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে। এমনকি শ্রীলঙ্কার মতো সমস্যাগ্রস্থ দেশটিও তাদের মূল্যস্ফীতির হার ৩৫ শতাংশ থেকে তিন শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে রাখলেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এটা বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত করে রেখে আমদানি ব্যয় কমানো যেতো যদি স্থানীয়ভাবে আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন করা যেতো। বৈদিশক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে রাখার পদ্ধতি তখনই কার্যকর এবং সফল হতো যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানিকারক ও উদ্যোক্তাদের চাহিদা মতো বৈদেশিক মুদ্রার যোগান নিশ্চিত করতে পারতেন। আমদানিকারকগণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে না পারলে তারা কার্ব মার্কেট থেকে উচ্চ মূল্যে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে বাধ্য হবেন। বর্তমানে ঠিক তাই হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে কার্ব মার্কেটের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের মধ্যে ১ টাকা বা ২ টাকা পার্থক্য থাকে। এখন সেই পার্থক্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে দেয়ার এই প্রক্রিয়া তখনই সফল হতো যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যাপ্ত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করতে পারতো এবং একই সঙ্গে হুন্ডি ব্যবসায়িদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে পারতো। কিন্তু সেটা কি সম্ভব?

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বন্ধ বা সীমিত করার একটি সহজ পদ্ধতি হতে পারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেয়া। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করা হলে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং পণ্য রপ্তানিকারকগণ বৈধ চ্যানলে দেশে অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে উৎসাহ হয়ে উঠতেন। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কারণ বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণ করলে নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ যে বিনিময় হার পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পাওয়া যায় হুন্ডি বব্যসায়ীদের নিকট থেকে। এই সঙ্গে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণ অধিকতর সহজ। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক চাইলেই তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সেরে দেশে অর্থ প্রেরণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু হুন্ডি ব্যবসায়িরা তাদের প্রবাসীদের আবাসস্থলে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা দেশে তাদের পরিবারে কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। নতুন ব্যবস্থায় প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ আর্থিক প্রনোদনা যুক্ত হয়ে প্রতি মার্কিন ডলারে যে বিনিময় হার পাওয়া যাতে স্থানীয় মুদ্রায় হুন্ডি ব্যবসায়ীরা প্রতি মার্কিন ডলারের তার চেয়ে ান্তত ১০ টাকা বেশি দেবে। এই সুযোগ ক’জন প্রবাসী হারাতে চাইবেন? পণ্য রপ্তানিকৃত অর্থের একটি বড় অংশই বৈধ চ্যানেলে দেশে আসছে না। এগুলো হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ চ্যানেলে দেশে আসার পরিমাণ বাড়তো। এতে রিজার্ভের স্ফীতিও বৃদ্ধি পেতো।

কাজেই বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার যতটা সম্ভব দ্রুত বাজার ভিত্তিক করা যেতে পারে। আর অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য মূল্যে উচ্চ স্ফীতি কমানোর জন্য বাজার ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বৈদেশিখ মুদ্রার বিনিময় হার অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য মূল্যের উপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না,যতটা প্রভাব ফেলে বাজার সিন্ডিকেট।

 

এম এ খালেক

অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার,

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ মে ২০২৪

প্রতিদিনের অর্থনীতি |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

May 2024
SSMTWTF
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

সম্পাদক:
এম এ খালেক
Contact

মাকসুম ম্যানশন (৪র্থ তলা), ১২৭, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

০১৮৮৫৩৮৬৩৩০

E-mail: protidinerarthonity@gmail.com