বৃহস্পতিবার ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে আমরা অসহায়

এম এ খালেক   |   বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   100 বার পঠিত

দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে আমরা অসহায়

এই মুহূর্তে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় সবচেয়ে আলোচিত প্রসঙ্গ হচ্ছে একজন সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ড. বেনজির আহমেদ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক প্রধান আসাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতি। একই সঙ্গে সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ এবং সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের নির্মম হত্যাকান্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ড. বেনজির আহমেদের দুর্নীতির বিষয়টি। পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির কিছু কিছু সংবাদ প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর সদস্যাদের একটি বড় অংশই নানাভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। পুলিশ বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তার ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি এখন আর গোপন কিছু নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে অলিখিত ‘দায়মুক্তি’ দেয়া হলে তার পরিণতি কি হতে পারে পুলিশ বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতি তার বড় প্রমান।

পুলিশ একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী। রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের অর্থে তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। কাজেই তারা সৎভাবে নিষ্ঠার জনকল্যাণে দায়িত্ব পালন করবেন এটাই কাম্য। কিন্তু ঘটনা সব ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটছে না। কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে গর্ব করে বলতে শুনেছি, আমরাই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরাই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছি। তাদের এই দম্ভপূর্ণ উক্তি শুনলেই বুঝা যায় কেনো এক শ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশ যেসব সব প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ তার মধ্যে পুলিশ বিভাগ অন্যতম। এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয় তখন দেখা যায় সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল মন্ত্রী তাদের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির গুজব ছড়িয়ে সরকারের দুর্নাম করা হচ্ছে। সরকারকে দুর্নীতিবাজ প্রমান করার জন্য বিএনপি চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তিনি এর মাধ্যমে সরকারকে হটানোর চক্রান্ত খুঁজে পেয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দুর্নীতির উৎসব শুরু করা হয়েছিল। বিএনপি আমলে দুর্নীতি হয়েছে নাকি হয়নি। অথবা বর্তমান সরকার আমলের চেয়ে বেশি নাকি কম দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার জনগণ করবে। কিন্তু তাই বলে অতীত সরকারের দোহাই দিয়ে কি বর্তমান দুর্নীতির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে?
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালিন অবস্থায় ট্রান্সপেরেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) দুর্নীতির ধারনা সূচকে বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় শীর্ষস্থান দিয়েছিল। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতা-নেত্রী নানাভাবে তৎকালিন সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তারা একবারও ভেবে দেখেন নি ২০০১ টিআই দুর্নীতির যে ধারনা সূচক প্রকাশ করেছিল তার ভিত্তি কি ছিল। ২০০০ সালের দুর্নীতির তথ্য বিবেচনায় নিয়ে তারা সেই সূচক প্রকাশ করেছিল। তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কাজেই সেই দুর্নীতির দায়ভার কোনোভাবেই তারা এড়াতে পারেন না। ২০০১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ বছর বাংলাদেশ দুর্নীতির ধারনা সূচকে সবার শীর্ষে ছিল। পরবর্তীতে দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা নেমে যায়। তার অর্থ এই নয় যে, দেশে দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে। দুর্নীতি প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশ্বের কোনো কোনো দেশে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধি পাবার কারণে বাংলাদেশ তার শীর্ষ অবস্থান হারিয়ে ফেলে। তার অর্থ কোনোভাবেই এটা নয় যে, দেশে দুর্নীতি কমেছে। অতীতে যে দুর্নীতি হয়েছে তার সঠিক বিচার করার পাশাপাশি আগামীতে যাতে দুর্নীতি না হয় তা নিশ্চিত করাই হবে সরকারের দায়িত্ব। কোনোভাবেই অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। আর যে বা যারাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ুক না কোনো তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতিবাজদের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সমর্থন বা সহযোগিতা দেয়া মোটেও সঙ্গত নয়।

পুলিশ বাহিনীর এক শ্রেণির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের কিন্তু ড. বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ অতীতের সমস্ত দুর্নীতির মাত্রাকে অতিক্রম করে গেছে। একজন মানুষ কতটা নির্লজ্জ এবং বেহায়া হলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে পারেন তা ড. বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ না শুনলে বুঝা যাবে না। পলাশির যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মীর জাফরের নাম এখন বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশব্দ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ড. বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির ঘটনাগুলো প্রমানিত হলে আগামীতে ‘বেনজির’ শব্দটি হয়তো দুর্নীতির সমার্থক হয়ে উঠবে। একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি যদি আচরণে দায়িত্বশীল না হন তাহলে কি পরিণতি হতে পারে ড. বেনজির আহমেদের ঘটনা তারই জলন্ত প্রমান। ড. বেনজির আহমেদ এখন কোথায় কিভাবে আছেন তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। কারণ রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে না। বেনজির হয়তো এক সময় সব দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস পাবেন (অতীত তাই বলে) কিন্তু জাতির নিকট তার ইমেজের যে ক্ষতি হলো তা কি আর কখনো পূরণ হবে? জাতি আগামীতে ঘৃণার সঙ্গে বেনজিরের নাম উচ্চারণ করবে।

বাংলাদেশের বর্তমানে যেসব আইন প্রচলিত আছে তার অধিকাংশই বৃটিশ আমলে প্রণীত আইনের সংশোধিত রূপ মাত্র। ১৯৪৭ সালে মধ্য আগষ্টে (১৪ ও ১৫ আগষ্ট) উপ-মহাদেশ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হলে বৃটিশ আমলে প্রণীত আইনের শিরোনাম এবং সামান্য কিছু ধারা পরিবর্তনপূর্বক প্রয়োগ শুরু হয়। পাকিস্তানের ২৪ বছরের শাসনামালে কখনোই বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলে সৃষ্ট আইন পরিবর্তন করে স্বাধীন দেশের উপযোগি আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আশা করা হয়েছিল বৃটিশ আমলে প্রণীত এবং পাকিস্তান আমলে অনুসৃত আইনগুলো পরিবর্তন করে স্বাধীন দেশের উপযোগি আইন প্রণয়ন করা হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর আগে কিন্তু এখনো বৃটিশ আমলে প্রণীত এবং পাকিস্তান আমলে অনসৃত আইনগুলো অধিকাংশই সামান্য পরিবর্তনপূর্বক অনুসরণ করা হচ্ছে। স্বাধীন দেশের উপযোগি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
বৃটিশ আমলে প্রণীত আইনের উদ্দেশ্য ছিল এদেশের মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করে রেখে শোষণের ক্ষেত্র তৈরি করা। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন কোনো বিদেশি শক্তি কখনোই দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার সুরক্ষিত হয় এমন কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে না। আইনি দুর্বলতার কারণেই বাংলাদেশে সত্যিকার আইনের শাসন এবং সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। লর্ড মেকলে সর্ব প্রথম আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। ১৮৩০ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে বেশির ভাগ আইন প্রণীত হয়। বিশেষ করে ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যেসব আইন প্রণীত হয়েছে তা ছিল মূলত নিবর্তনমূলক। বৃটিশ আমেেল প্রণীত আইনে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তারা বরং চাইতেন এদেশে তাদের অনুগত একটি শক্তিশালি অথচ দুর্নীতিগ্রস্থ আমলা শ্রেণি তৈরি করে শাসন কার্যকে স্থায়ী রূপ দেয়া। একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

মোঘল আমলে ভূমির মালিক ছিলেন সম্রাট। চাষিরা ছিলেন সম্রাটের প্রজা। ইংরেজরা বুঝতে পারে সামান্য কিছু ইংরেজের পক্ষে এত বড় রাষ্ট্রের ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই তারা ভূমি কেন্দ্রিক এমন একটি সুবিধাভোগি শ্রেণি গড়ে তুলতে চাইলেন যারা স্বজাতির স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হলেও ইংরেজদের অনুকূলে কাজ করবেন। মোঘল আমলে জমিদার ছিলেন বংশানুক্রমিক রাজস্ব সংগ্রাহক মাত্র। তারা সম্রাটের পক্ষ থেকে জমির রাজস্ব আদায় বা সংগ্রহ করতেন। বিনিময়ে নির্দিষ্ট হারে অর্থ পেতেন। জমিদারগণ কোনোভাবেই জমির মালিক ছিলেন না। ইংরেজরা এই জমিদার শ্রেণিকে রাজ অনুগত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৭৬৫ সাল থেকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্ণওয়ালিসের সময় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন’ প্রণয়ন করা হয়। চিরস্থায়ী আইন প্রণীত হবার ফলে জমিদারগণ জমির একচ্ছত্র মালিকে পরিণত হন। তারা ইংরেজ সরকারের নিকট থেকে জমিদারি পত্তন গ্রহণ করতেন। নিজেদের ইচ্ছা মতো রায়তদের নিকট থেকে অত্যাচার নির্যাতন করে খাজনা আদায় করতেন। জমিদারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সূর্যাস্ত আইন নামে এক কালো আইনের প্রবর্তন করেন। মূলত এই আইনের মাধ্যমেই ভূমি কেন্দ্রিক প্রতারণা এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়। সূর্যাস্ত আইনের মূল বিষয়বস্তু ছিল- কোনো জমিদার যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারের পাওনা রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই দিনের সূর্য অস্ত যাবার পর জমিদারি নিলামে তোলা হতো। তখনকার দিনে পূর্ব বঙ্গের অধিকাংশ জমিদার ছিলেন মুসলমান। তারা উন্নত জীবন যাপনের প্রত্যাশায় কোলকাতা শহরে বসবাস করতেন। জমিদারি পরিচালনা করতেন মূলত নায়েব এবং সেরেস্তাদারগণ। নায়েবরা ইচ্ছে করেই সরকারের পাওনা রাজস্ব পরিশোধে সময় ক্ষেপন করতেন। এক সময় জমিদারি নিলামে তোলা হতো। অনেক ক্ষেত্রে নায়েররা ভূয়া নামে সেই জমিদারি নিলামে ক্রয় করে নিতেন। কখনো আত্মীয়-স্বজনের নামে জমিদারি ক্রয় করা হতো। এমনকি রাজস্ব প্রদানের নামে টাকা নিয়ে যাবার সময় ভূয়া ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে অর্থ লুটে নেয়া হতো। ফলে রাজস্ব বকেয়া পড়তো এবং জমিদারি নিলামে উঠতো। এভাবে শত শত জমিদার তার জামিদারি হারিয়ে রাস্তার ফকিরে পরিণত হয়েছেন। ইংরেজদের রাষ্ট্র শাসনের কৌশল হিসেবে এদেশে তাদের অনুগত একটি দুর্নীতিগ্রস্থ শ্রেণি গড়ে তোলা। দুর্নীতিবাজরা তাদের অর্জিত সম্পদের নিরাপত্তার জন্য সব সময়ই ক্ষমতাসীনদের পদলেহন করে থাকে। সম্পত্তি রক্ষার এটি একটি কার্যকর কৌশল। যেসব নায়েব নিলামের মাধ্যমে জমিদারি পেয়েছিলেন তারা ইংরেজদের প্রতি ছিলেন প্রশ্নাতীত অনুগত।

বর্তমান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পরিষদের নামে সরকার সমর্থক দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখা যায়। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারি হচ্ছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা বা কর্মচারি। যে সরকারই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হোক না কেনো তাদের নির্দেশনা মেনে চলাই হবে প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারির দায়িত্ব। তারা কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারেন না। কিন্তু সরকার এই মতলববাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। বরং সরকারের মন্ত্রীরা এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের উৎসাহিত করেন।

বড় বড় দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে তাদের যেভাবে সুরক্ষা দেয়া হয় তা সত্যি নজীরবিহীন। সরকার যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় কমিটমেন্ট গ্রহণ করতেন তাহলে বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘঠিত দুর্নীতির মাত্রা অনেকটাই কমে যেতো।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

প্রতিদিনের অর্থনীতি |

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

June 2024
SSMTWTF
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930 

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

সম্পাদক:
এম এ খালেক
Contact

মাকসুম ম্যানশন (৪র্থ তলা), ১২৭, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

০১৮৮৫৩৮৬৩৩০

E-mail: protidinerarthonity@gmail.com