
| মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 154 বার পঠিত
নানা অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্তকৃত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ কর্মকর্তাকে পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবি পেশ করেছেন কোম্পানির কর্মীরা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে এই দাবি জানান তারা।
এ সময় কোম্পানির প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে গত ২ মাসে প্রশাসকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে কোম্পানির কর্মীরা বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে, সকল এফএ, ইউএম ও বিএমদের বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধ; নিরপেক্ষ অডিট কোম্পানি দিয়ে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ অডিট সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশ করা; স্যালারি পলিসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্যান্য জীবন বীমা কোম্পানির প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় রেখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়ম যথাযথ প্রতি পালনের সাপেক্ষে দ্রুত বাস্তবায়ন করা; মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদকে দ্রুত পদে বহাল করা; হেড অফিসের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়োগকৃত অস্ত্রধারী আনসার সদস্যদের কার্যক্রম বন্ধ করে এবং আইডিআরএর’র প্রশাসক নিয়োগপত্রের ৯৫(১) ধারার বাইরে স্বেচ্ছাচারী কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না করা ও ইচ্ছেমত নিয়োগ ও বরখাস্ত না করার দাবি রয়েছে।
এদিকে জানা যায়, ২ জুলাই সোনালী লাইফের কর্মকর্তাদের নিয়ম বহির্ভুতভাবে নেয়া আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ৭ জুলাই নিয়মবহির্ভূতভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্য কোম্পানির উর্ধ্বতন ৫ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর সূত্র ধরে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকেই সোনালী লাইফের প্রধান কার্যালয়ের (বর্ধিত) সামনে জমায়েত হয় বীমা কোম্পানিটির ঢাকা ও এর আশপাশে কর্মরত মাঠকর্মী ও কর্মকর্তারা। এ সময় তারা প্রশাসকের অপসারণসহ সাসপেন্ডেড পরিচালনা পর্ষদের হাতে কোম্পানির দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবি জানান।
জমায়েত মাঠকর্মীদের মাঝে বক্তব্য দেন সোনালী লাইফের এসিসট্যান্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এএমডি) সাহেল রহমান। তিনি বলেন, সোনালী লাইফের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গ্রাহকের কোন অভিযোগ নেই। সঠিক সময়ে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে আইডিআরএ।
তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট যেখানে প্রশাসককে তদন্তের জন্য সময় দিয়েছিল ২ মাস। সেখানে ৩ মাস হয়ে গেলেও এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এ ছাড়াও সোনালী লাইফকে ধংস করার জন্য কর্মীদের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে, সেলস পলিসি বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসকের অদক্ষতার কারণে গত ৩ মাসে সোনালী লাইফের ব্যবসা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সাহেল রহমান আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ করছি। প্রশাসককে অমান্য করার এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে আইন প্রশাসক নিজেই তৈরি করেছেন। তিনি আইডিআরএ’র আইনের বাইরে গিয়ে আমাদেরকে ছাঁটাই করছেন। তিনি (প্রশাসক) নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ করেছেন, সেলস পলিসি বন্ধ করেছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করছেন। এটা করা তার কোন এখতিয়ার নেই।
এসময় আরো বক্তব্য দেন বীমা কোম্পানিটির এসিসট্যান্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এএমডি) আরেফিন বাদল রনি। তিনি বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। সেলস পলিসি ও বেতন-ভাতাও বন্ধ করা হয়েছে অবৈধভাবে। জুলাই মাসে এসে তিনি (প্রশাসক) মার্চ মাসে জারি করা সার্কুলার বাতিল করেছেন, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
Posted ৬:২১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity