
| সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 161 বার পঠিত
দেশের শিল্প ও আর্থিক খাতের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এর রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া এবং কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ ঘটিকায় তার পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামস্থ মিয়া বাজারে এই দোয়া এবং কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়। মোস্তফা গোলাম কুদ্দসের ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান এক ক্ষুদে বার্তায় পিতার রুহের মাগফেরাত কামনায় সকলের নিকট দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।
কুমিল্লার কৃতিসন্তান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ১৯৪৯ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সদস্য মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি, ড্রাগন গ্রুপের চেয়ারম্যান, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের স্বপ্নদ্রষ্টা।
পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮৭ সালে সোয়েটার কারখানা স্থাপন করেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। পরবর্তীতে ধাপে দেশের শিল্প ও আর্থিকখাতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। দেশের সোয়েটার শিল্পের জনক হিসেবে পরিচিতি লাভকারী মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস উত্তরসূরীদের জন্য নির্মাণ করেছেন স্বচ্ছন্দ চলার পথ। তার নির্মিত পথেই জাতীয় অর্থনীতিতে এ শিল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন, পাশাপাশি সুযোগ সৃষ্টি করে লাখ লাখ কর্মসংস্থানের। দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন এবং শিল্প উন্নয়নে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করেছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। তার একক প্রচেষ্টায় শিশু শ্রম নির্মূল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে অসীম সাহস ও অতুলনীয় দূরদর্শীতার সাথে ক্রমাগত এগিয়ে ছিলেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।
প্রগতিশীল ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্নচারী মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ছিলেন একনিষ্ঠ পরোপকারী এবং সমাজ সেবক। যার হাত ধরে গড়ে উঠেছিল তারই নিজ এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বৃদ্ধাশ্রম।
Posted ৪:১৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity