
| বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 613 বার পঠিত
তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন বীমা ব্যক্তিত্ব আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৮৬ সালে বিজিআইসিতে কর্মজীবন শুরু করেন। ধারাবাহিকভাবে বীমা পেশার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করে নিজ যোগ্যতায় পদোন্নতি লাভ করে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি’র মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী শুধু বীমা খাতে একাগ্রচিত্তে নিজের সবটুকু সময় দিলেও সমাজসেবার ক্ষেত্রে তিনি পিছিয়ে থাকেননি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তিনি চট্টগ্রাম ক্লাব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব, ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের আজীবন সদস্য এবং চিটাগাং ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, চিটাগাং লায়ন্স ফাউন্ডেশন, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সংসদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ব্যাচ-৮৩-এর আজীবন সদস্য। এছাড়া আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি-৪, বাংলাদেশ-এর একজন চার্টার্ড সদস্য। সমাজের বিভিন্ন স্তরের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পৃষ্ঠপোষক এবং দাতা সদস্য।
দেশের বীমা খাতের সমসাময়িক নানা বিষয়ের পাশাপাশি এ খাতের সার্বিক উন্নতিকল্পে ও জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত দেন তিনি। আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিআইএ’র সক্রিয় অবস্থানের কারণে এ খাতে অতিরিক্ত কমিশন প্রদান; এজেন্ট প্রথা; বিশ্ব বীমা বাজারের সাথে দেশের বীমার প্রিমিয়াম হার; নন-ট্যারিফ মার্কেট, পণ্যের মাণ এবং বাধ্যতামূলক বীমা আওতা বাড়াতে বিআইএ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ দরকার।
সম্প্রতি বিআইএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে কথা হয় বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি’র (বিজিআইসি) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরীর সাথে।
তিনি বলেন, বিআইএ হলো বীমা কোম্পানিগুলোর মাদার সংগঠন। ১৯৮৫ সালে সরকারি বীমা কোম্পানির পাশাপাশি যখন বেসরকারি বীমা কোম্পানি পরিচালনার অনুমতি দেয়া হলো তখনি এই সংগঠন গড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তৎকালীন বীমা খাতের কয়েকজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব মিলে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন এই সংগঠনের উদ্দেশ্যই ছিলো বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশে বেসরকারি বীমা ব্যবসার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে কাজ করা।
এছাড়া এই সংগঠনের মাধ্যমে বীমা খাতে ট্যারিফ রেইট নির্ধারণ, বীমা ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, সময়ে সময়ে সরকারের কাছে বীমা শিল্পের স্বার্থে বিভিন্ন দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি বীমাখাতে নিযুক্ত ব্যক্তিদের উচ্চতর দক্ষতা অর্জন করতে এবং বীমা ব্যবসা পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনি ও নৈতিক অনুশীলন গড়ে তুলতে বিআইএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। তাই আমি মনে করি, বিগত সময়ের মতো বর্তমানেও বিআইএ’র নেতৃত্বে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ আসুক। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বিআইএ’র নেতৃত্বে আসলে সরকার ও অংশীজনদের কাছে এই সংগঠনের গুরুত্ব বাড়বে বৈ কমবে না।
Posted ৪:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity