
| বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট | 123 বার পঠিত
আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পবিত্র হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘আরাফাত দিবস’ পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ২০ লাখ হাজি সমবেত হয়েছেন।
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’—এই পবিত্র ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান। সৌদি আরবে আজ ৯ জিলহজ, যা ইসলাম ধর্মের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দিন ‘আরাফাত দিবস’ হিসেবে পরিচিত। হাজিরা এই দিনটি ইবাদত, নামাজ, জিকির ও দোয়া-মোনাজাতে কাটাচ্ছেন।
সাদা দুই টুকরা কাপড়ে শরীর ঢেকে হজযাত্রীরা আজ বৃহস্পতিবার মিনায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর থেকেই পবিত্র আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করেন। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধারণ করে মুসলিমরা সমবেত হচ্ছেন এই পবিত্র প্রান্তরে।
গতকাল বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে মিনায় জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অধিকাংশ হাজি মঙ্গলবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় পৌঁছে যান। হজযাত্রীদের সংখ্যা বিবেচনা করে সৌদি মুয়াল্লিমরা আগের রাত থেকেই তাঁদের মিনায় নেওয়া শুরু করেন।
মিনায় যাত্রার মাধ্যমে হজ পালনের সূচনা হয়, যা ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। অন্যান্য দেশের হাজিদের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের ৮৫ হাজার ১৬৪ জন হাজিও বুধবার সারা দিন মিনার তাঁবুতে অবস্থান করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের বাইরে থেকে ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রীর আগমন নিশ্চিত করছে সৌদি প্রশাসন। হজযাত্রীদের চলাচল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিস্তৃত ট্র্যাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে হজযাত্রীদের প্রধান রুটগুলো এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ আচার পালনে সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিশ্চিত করা। আকাশ থেকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারি করা হচ্ছে।
সৌদিতে তাপমাত্রা প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন হলে সব হজযাত্রীদের কাছাকাছি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর শরণাপন্ন হতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ আল-তালা বলেন, জরুরি অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা এবং নিবিড় চিকিৎসা কেন্দ্রসহ ৯৮ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ ছাড়া তিনটি অতিরিক্ত ফিল্ড হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোর সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২০০ শয্যা। মন্ত্রণালয় ৭১টি জরুরি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন এবং ৯০০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ১১টি মেডিকেল ইভাকুয়েশন উড়োজাহাজ নিয়োজিত করা হয়েছে।
Posted ১:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity