শুক্রবার ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বীমা আইন সংশোধনে খসড়া প্রকাশ মতামত চাইল আই‌ডিআরএ

  |   বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   252 বার পঠিত

বীমা আইন সংশোধনে খসড়া প্রকাশ মতামত চাইল আই‌ডিআরএ

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ –কে আরো বাস্তবমুখী এবং যুগোপযোগী করতে ৮টি ধারায় সংশোধন আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আইনের একটি খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আইডিআরএ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধনীর খসড়া প্রজ্ঞাপন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিশেষজ্ঞ, জনসাধারণের সুচিন্তিত মতামত আহবান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত দু’টি ই-মেইলে মতামত পাঠাতে হবে।

আইডিআরএ বলছে, বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ আইন যুগোপযোগীকরণ, অস্পষ্টতা ও দূর্বলতা দূরীকরণ, কর্তৃপক্ষে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ও বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিজ্ঞতার বিষয়কে আমলে নিয়ে চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রভৃতির জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যেসব সংশোধন আনা হচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইনে; সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন: (১) এই অধ্যাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) আইন, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে।(২) এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এর সংশোধন: উপ-ধারা (২) এ ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন’ শব্দদ্বয়ের পরিবর্তে ‘জ্ঞানসম্পন্ন’ শব্দদ্বয় প্রতিস্থাপিত হবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৩) এর সংযোজন: (৩) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন ও উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত প্রবিধান জারির পূর্বে যারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা কর্তৃপক্ষে যোগদানের তারিখ হতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (ঙ) এর সংশোধন: উপ-ধারা (৩) এ ‘মধ্যস্থতাকারীর’ শব্দের পরিবর্তে ‘মধ্যস্থতাকারী, বীমা শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহের’ শব্দসমূহ ও কমা প্রতিস্থাপিত হবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (থ) এর সংশোধন: উপ-ধারা (থ) এ ‘নিষ্পত্তিকল্পে পৃথক শাখা’ শব্দদ্বয়ের পরিবর্তে ‘নিষ্পত্তিসহ বীমাকারীকে তদারকি এবং বীমা শিল্প প্রসারের লক্ষ্যে পৃথক আঞ্চলিক’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ১৭ এর সংশোধন: আইনের ধারা ১৭ এ ‘পরবর্তী অর্থ বৎসরের’ এর পর ‘বার্ষিক’ এবং ‘অনুমোদনের জন্য’ বিলুপ্ত হবে এবং বাক্যের শেষে দাড়ির পূর্বে ‘এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে যদি সরকারের নিকট হইতে অর্থের প্রয়োজন হয় তবে তাহার পরিমাণ উল্লেখ থাকিবে।’ শব্দসমূহ সংযোজন হবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৩০ এর পর নতুনভাবে ৩০ক সংযোজন: নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা।- কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে গাইডলাইন বা সার্কুলারের মাধ্যমে নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।

২০১০ সনের ১২ নং আইনের ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (২) এর সংশোধন: উপ-ধারা (২) এ ‘অব্যবহিত’ শব্দের পরিবর্তে ‘অতিবাহিত’ শব্দ প্রতিস্থাপিত হবে।

 

 

প্রতিদিনের অর্থনীতি/আর‌টি
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:২২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

প্রতিদিনের অর্থনীতি |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

সম্পাদক:
এম এ খালেক
Contact

মাকসুম ম্যানশন (৪র্থ তলা), ১২৭, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

০১৮৮৫৩৮৬৩৩০

E-mail: protidinerarthonity@gmail.com