
| মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 506 বার পঠিত
বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ৪ শতাংশ প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি। ২০২৬–২৭ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কিছুটা ধীরগতির পর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতা ফিরে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশ মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে পারবে, তবে স্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী সংস্কার অপরিহার্য। বিশেষ করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, জ্বালানি ভর্তুকি ধীরে ধীরে হ্রাস, নগরায়ন ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে, যদিও বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করার পর কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যস্ফীতি কমলেও রাজস্ব ঘাটতি ও আর্থিক ঝুঁকি বাড়ছে।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ নতুন কর্মক্ষম নারী এখনো শ্রমবাজারের বাইরে রয়েছেন, যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দৃঢ়তা দেখিয়েছে। তবে এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন কার্যকর সংস্কার। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, জ্বালানি খাতে দক্ষতা, নগরায়ন পরিকল্পনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের পাশাপাশি আরও বেশি ও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রয়োজনীয় নীতিগত সংস্কার ও আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা গেলে বাংলাদেশ আবারও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির গতি ফিরিয়ে আনতে পারবে।
Posted ৫:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity