
| সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ | প্রিন্ট | 404 বার পঠিত
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ সুদবিহীন বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেয়। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শুধুমাত্র ইসলামিক বন্ড নয়, বরং শরীয়াহভিত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাপিটাল মার্কেট অবকাঠামো গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
গতকাল রোববার (২০ জুলাই) বিএসইসি কর্তৃক গঠিত শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সভাটি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শরীয়াহভিত্তিক বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও এখনো সেভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গড়ে ওঠেনি। শুধু ইসলামিক বন্ড নয়, বরং পুরো মার্কেট কাঠামোকেই শরীয়াহ ভিত্তিতে ঢেলে সাজাতে হবে।”
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়ন নিয়ে এই সভায় শরীয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ ইস্যু, নিয়মনীতি ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. আলী আকবর, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এইচ. এম. মোশারফ হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী এবং বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মো. লুৎফুল কবির।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ভবিষ্যতে ইসলামিক সিকিউরিটিজ যাচাই ও অনুমোদনে মূল ভূমিকা পালন করবে। এতে দেশি-বিদেশি শরীয়াহ অনুসারী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, ইসলামিক অর্থনীতির সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে ২০২২ সালে বিএসইসি ‘শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল রুলস’ প্রণয়ন করে।
Posted ৫:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity