
| শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫ | প্রিন্ট | 182 বার পঠিত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জুলাই মাসের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি ও মূল্যায়ন সভায় কর আহরণে স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সভায় আমদানি-রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে অযথা হয়রানি না করে সৎ ও নিয়ম মেনে ব্যবসা করা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তবে যারা নিয়ম ভঙ্গ করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে ফ্যাসিলিটেশন নীতি মেনে সঠিকভাবে রাজস্ব আদায় করা। সৎ আমদানিকারকদের কোনোভাবেই অযথা হয়রানি করা যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভ্যাট আহরণে কর কর্মকর্তাদের অযথা চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সৎ করদাতাদের কোনো ধরনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করে যারা একেবারেই ভ্যাট পরিশোধ করছেন না বা ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আয়কর খাতে ই-রিটার্ন দাখিলকে আরও সহজ করতে প্রতিটি কর অঞ্চলকে পর্যাপ্ত জনবল দেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে eTIN ও eTDS সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, বকেয়া কর আদায়ে অডিট কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং কর ফাঁকি উদঘাটনে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
সভায় কাস্টমস বিভাগের বন্ড লাইসেন্স জালিয়াতি, কন্টেইনার জট, বাজেয়াপ্ত পণ্যের নিলাম এবং রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হলে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কর আদায়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের সব কমিশনার এবং এনবিআরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity