
| মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট | 183 বার পঠিত
বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ অর্থবছরে ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রবৃদ্ধির পথে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য ঝুঁকিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এডিবির ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও)’ প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক রপ্তানি খাত স্থিতিশীল থাকলেও দেশীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, শ্রম বিরোধ, ঘন ঘন বন্যা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ভোগ ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে ভোগব্যয় বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সতর্ক বিনিয়োগ প্রবণতা বিনিয়োগকে শ্লথ করতে পারে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক এবং ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাতের ওপরও চাপ তৈরি হবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা এবং টাকার অবমূল্যায়ন এর প্রধান কারণ।
এডিবি সতর্ক করেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নে অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এজন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর জোর দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি বর্তমানে ৬৯টি দেশকে সদস্য হিসেবে নিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে।
Posted ৫:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity